আপনার স্বাস্থ্য
সংগ্রহ: আহমাদ সাইফুল্লাহ রিফাত
গরমে শিশুর যত্ন
পরিবারের ছোট হতে বড় যে কেউই এই গরমে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে যেতে পারে। তবে আমরা শিশুদের নিয়ে একটু বেশিই সচেতন থাকতে হবে। নিচের বিষয়গুলো মেনে চললে অনাকাক্সিক্ষত অনেক সমস্যা থেকে আমরা বেঁচে থাকতে পারব, ইনশা-আল্লাহ-
গরমে শিশুকে নিয়মিত গোসল করাতে এবং ধুলাবালি থেকে যথা সম্ভব দূরে রাখতে হবে। গোসলের সময় সাবান বেশি ব্যবহার থেকে বিরত থাকুন; কারণ শিশুদের ত্বকে এক ধরনের উপকারী ব্যাক্টিরিয়া থাকে যা ত্বককে নানা রকম সংক্রমণ থেকে রক্ষা করে। বেশি সাবান ব্যবহারের ফলে তা নষ্ট হয়ে যায়। শিশুর গায়ের ঘাম সাথে সাথে মুছে দিতে হবে। গায়ে ঘাম শুকিয়ে গেলে ঠাণ্ডা জাতীয় রোগ হতে পারে।
শিশুর শরীর পরিষ্কার রাখতে হবে; যেন র্যাশ জাতীয় সমস্যা না হয়।
শিশুকে যথা সম্ভব নরম খাবার দিতে হবে। গরমে শিশুরা অনেক সময় খেতে চায় না তখন জোর না করে শিশু খেতে চায় এমন খাবার প্রস্তুত করে দিন। বাইরে বের হলে সাথে পানি ও খাবার রাখতে হবে।
গরমে শিশুকে প্রচুর পানি বা পানিয় পান করাতে হবে, যেন প্রস্রাবের পরিমাণ স্বাভাবিক থাকে। ঘরে তৈরী ফলের জুস, ডাবের পানি ও লেবুর শরবত বিশেষ উপকারী।
শিশুর বমি বা ডায়রিয়া হলে ঘাবরানোর কিছু নেই। চিকিৎসা নেবার আগ পর্যন্ত প্রতিবার পাতলা পায়খানার পর খাবার স্যালাইন, ভাত বা চিড়ার পানি ইত্যাদি তরল খাবার এবং পাশাপাশি স্বাভাবিক খাবার খেতে দিন।
শিশু ঘেমে গেলে পাতলা ও নরম কাপড় দিয়ে শরীর মুছে দিন এবং কাপড় পরিবর্তন করে দিন।
সব সময় শিশুকে হালকা সূতির জামা পরাবেন; এমনকি বেড়াতে যাওয়ার সময়ও। শিশু আরাম পাবে এমন পোষাক পরাবেন।
ডায়াপার পরালে সেটিকে প্লাস্টিকের প্যান্ট দিয়ে ঢাকবেন না। ডায়াপার পরানো স্থানটি শুকনো রাখার চেষ্টা করুন। যদি ডায়াপার আবৃত স্থানটি লাল হয় তবে তা পরানো বন্ধ রাখুন।
গরমে শিশুর গায়ে ঘন ঘন পাউডার লাগানো থেকে বিরত থাকুন। তা খুবই ক্ষতিকর; কারণ অনেক সময় পাউডার শিশুর কোমল ত্বকের গভীরে পৌঁছে বিষক্রিয়া ঘটাতে পারে। অধিক তৈল ব্যবহার করানোও ঠিক নয়; এতে শিশু আরও বেশি ঘেমে যায়।
শিশুকে অহেতুক কৃত্রিম কসমেটিক বা পোষাক পরানো উচিত নয়, এতে স্পর্শজনিত নানা রকম চর্মরোগ হতে পারে।
চোখের ব্যায়াম
আরও অনেক দিক বিবেচনা করে আপনার শিশুর যত্ন নিন। শিশুকে সুস্থ রাখার চেষ্টা করুন।
অনেকেই বিভিন্ন কারণে চোখের সমস্যায় চশমা ব্যবহার করে থাকেন। চোখ সুস্থ রাখতে এবং চোখের সমস্যা দূর করতে নিচের ব্যায়ামগুলো ভালো উপকারে আসে-ক) খালি চোখে বেশি-বেশি সবুজ গাছ দেখুন।
খ) দৃষ্টিসীমার শেষ পর্যন্ত দেখার চেষ্টা করুন প্রতিদিন কয়েক মিনিট।
গ) ঝিরঝিরে হাওয়ায় পানিতে যে তরঙ্গ উঠে তাতে তাকিয়ে থাকুন প্রতিদিন কিছুক্ষণ।
ঘ) কিছুক্ষণ দু‘চোখের দু‘পাশ এক সাথে দেখার চেষ্টা করুন।
ঙ) নিয়মিত দু‘চোখ ডান দিকে ও বাম দিকে কিছুক্ষণ সময় ধরে ঘুরান।
চ) উপর-নিচ, ডান-বাম করে প্রতিদিন কিছুক্ষণ দেখতে থাকুন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন