তোমাদের চিঠি


আমাদের দিঠি

 উবাইদুল্লাহ সাআদ
     মুতা-১ম, দারুল উলূম হাড়িনাল
 ভাই সাআদ! তুমি লেখেছো ‘... পরিশেষে ঠিক করলাম, ফুলের জলসার সদস্য হবো। ... ফুলের জলসা পরিবারের কাছে আমার আম্মুর সুস্থতার জন্য দু‘আ চাই।’
     ফুলের জলসার পাঠক, লেখক সবাই মিলে এই দু‘আ করি, আল্লাহ যেন তোমার আম্মুর জন্য আশু সুস্থতার ব্যবস্থা করেন। আমীন! ছুম্মা আমীন!!

 মানসুর বিন আব্দুস সালাম
      জামিয়া মাহমুদিয়া হামিদনগর, বাহুবল
 ভাই মানসুর! তুমি লেখেছো, ‘... আমি হিকমাহ পত্রিকাটি দেখে খুবই মুগ্ধ হয়েছি। বেশ কিছুদিন যাবৎ এমন কিছু একটাই তালাশ করছিলাম। ... যদি কেউ কুরআন-হাদীস অনুযায়ী জীবন পরিচালনা করতে চায় তার জন্য এই পত্রিকাটি পাথেয় হয়ে কাজ করবে। ... পরিশেষে আমার আব্বু ও আম্মুর সুস্থতা এবং ছোট ভাই-বোনের জন্য দু‘আ চেয়ে শেষ করলাম।’
     তোমার মুগ্ধ হওয়াটা যদি আন্তরিক হয় তবে হিকমাহর লক্ষ্য-উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে এখনই কাগজ কলম নিয়ে বসে যাও। তোমার কোনো অবসর সময় যেন নষ্ট না হয়ে যায়। ‘হিকমাহ পরিবার’ সকলের জন্যই দু‘আ করে এবং সকলের কাছেই দু‘আ চায়।

 সুমাইয়া তাসনীম লিচী
       নাহবেমীর, ইকরা বালিকা মাদরাসা
 বোন সুমাইয়া! তুমি লেখেছো “সম্পাদক ভাইয়া! ... আমার উস্তাদজী শুধু রোযনামচা লিখতে বলেন। আমার অনেক সাথীরা লেখে; কিন্তু আমার মাথায় যে কিছুই আসে না। এমনিতে অনেক কিছুই মনে হয়; কিন্তু লিখতে বসলে সব লেখারা যে কোথায় হারিয়ে যায়। কলম আর চলে না। আমি কি করব? ... আ-মা-র আছে জল।”
     তোমার চিঠিতে তুমি জানতে চেয়েছো; কিভাবে তুমি ভালো লেখিকা হতে পারবে? এবার শোনো, লেখিকা হতে চাইলে একটি দোয়াত আর একটি ফাউন্টেনপেন নিয়ে বসো। ঝর্ণাকলমে কালি ঢুকাও আর মুখে নিয়ে চুষো। তাহলে মাথায় ই‘লম ঢুকবে। আর তোমার কলমের সামনে ও পেছনে দু‘টি করে মোট চারটি বড় বড় চাকা লাগাও। সামনে একটি দড়ি বাঁধো পরে জোরে জোরে টানো। হেইও... আরো জোরে, হেইও... ...।
     আর যদি সত্যি-ই ভালো লেখিকা হতে চাও, তাহলে এখনি কাগজ-কলম নিয়ে বসে যাও আর ৩৭ পৃষ্ঠায় ‘রোযনামচা’ লেখাটি বারবার পড়ে সেই মত লেখার চর্চা করো। কলম তোমার হাতে হাসবেই, মুক্তো ঝরাবেই। দরসের পড়া যেনো কোনোভাবেই নষ্ট না হয়, খেয়াল রাখবে।


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন